সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ও ডায়মন্ড গ্রুপের এমডি দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে গুলিতে মকবুল নামের এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত ।
আজ বৃহস্পতিবার তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই তন্ময় কুমার বিশ্বাস তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আলী হায়দার তাদের গ্রেফতার দেখান।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্রকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। পরদিন গত ৪ অক্টোবর তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ অক্টোবর রাতে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারায়ণ চন্দ্রকে আটক করা হয়।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান তার এ মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির একদফা দাবি আন্দোলন কর্মসুচি ঘিরে সারাদেশের নেতাকর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিন্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০/৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন।
এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। গুলিতে মকবুল নামে এক বিএনপি কর্মী আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।