জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই, যে দেশ অন্য কোন শক্তি বা দেশের অধীনতা মেনে নেবে না। পৃথিবীর অন্য দশটি দেশ যেমন মর্যাদার সাথে বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে, কিন্তু কোন প্রভু মেনে নেব না। কেউ আমাদের প্রভুত্ব করতে এলে জাতি তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবে।
আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বি-বাড়ীয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহা.মোবারক হোসাইন আকন্দের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ও অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর সৈয়দ গোলাম সারওয়ার, জেলা নায়েবে আমীর কাজী ইয়াকুব আলী, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, আবদুল বাতেন, সাবেক ছাত্রনেতা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ নাঈম, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর একটি দলের ওপর যে রকম জুলুম করা হয়েছে অন্য কোনো দলের ওপর সে জুলুম করা হয়নি। সে দলটার নাম হলো জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু আমরা আগেই বলেছি আমরা কারো ওপর প্রতিশোধ নেব না। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেব না। অর্থাৎ আমরা সামগ্রিকভাবে ক্ষমা করে দিতে চাই কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যারা যে অপরাধ করেছেন ইনসাফের দাবি হচ্ছে তাকে তার অপরাধের শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ জন্য আমরা ৪১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ দফা অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি। আমরা একটি পরিপূর্ণ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি।
কর্মী সম্মেলন শেষে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলূম জাদুঘর মাদ্রাসায় পরিদর্শন করেন ও আলেম-উলামাদের সাথে মতবিনিময় করেন।