ফিনল্যান্ডকে সহজেই ৩-১ গোলে হারিয়ে নেশন্স লিগে জয়ে ফিরেছে ইংল্যান্ড। আরেক ম্যাচে আর্লিং হালান্ডের নরওয়েকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রিয়া।
জ্যাক গ্রীলিশ প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের দুর্দান্ত কার্লিং ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে ডিক্লান রাইস আরো এক গোল করেন। ম্যাচের শেষভাগে স্বাগতিকদের হয়ে আরটু হোসকোনেন সান্তনার এক গোল দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ওয়েম্বলিতে গ্রীসের কাছে হতাশাজনক পরাজয়ের পর ইংল্যান্ডের জন্য এই জয়টা জরুরী ছিল। অন্তবর্তীকালীন কোচ লি কার্সলি গত ম্যাচে স্ট্রাইকার বিহীন ফর্মেশনে ব্যর্থ হবার পর কালকের ম্যাচে মূল দলে পরিবর্তণ আনতে বাধ্য হন।
কাল ম্যাচ শেষে কার্সলি বলেছেন, ‘আজ পুরো দল দারুন খেলেছে, এটাই তাদের সেরা প্রচেষ্টা। যে কারনে তিন গোল এসেছে। অনেক বেশী নিয়ন্ত্রিত ম্যাচ আমরা খেলেছি। বেশ কিছু সুযোগও তৈরী করতে পেরেছি। কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছে এর থেকেও ভাল খেলার সুযোগ ছিল।’
১৮ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির গ্রীলিশ ডেডলক ভাঙ্গেন। ১৭টি পাসের এই গোলে দারুন ফিনিশ করেছেন গ্রীলিশ। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে ম্যাচ শুরু করা এ্যাঞ্জেল গোমেজ ফিনিশ রক্ষনভাগের মধ্যে দিয়ে দারুন এক পাস দেন গ্রীলিশের দিকে। গোলরক্ষক লুকাস রাদেকিকে পরাস্ত করতে গ্রীলিশ কোন ভুল করেননি। সমতা ফেরানোর তাগিদে ফিনল্যান্ড বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করেছিল। কিন্তু ইংলিশ গোলবার সামলানোর দায়িত্বে থাকা ডিন হেন্ডারসনকে খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেননি। লিভারপুলে সাধারনত রাইট-ব্যাক পজিশনে খেলা আলেক্সান্দার-আর্নল্ডকে কাল লেফট-ব্যাক পজিশনে খেলানো হয়েছে। ৭৪ মিনিটে ২৫ গজ দুর থেকে তার ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। ম্যাচ শেষের ছয় মিনিট আগে বদলী খেলোয়াড় ওলি ওয়াটকিন্সের ক্রসে রাইস নেশন্স লিগে গ্রুপ-বি২’তে ইংল্যান্ডের চতুর্থ জয় নিশ্চিত করেন।
এ পর্যন্ত সবকটি ম্যাচে হেরে ফিনল্যান্ড টেবিলের তলানিতে রয়েছে। ৮৭ মিনিটে কর্নার থেকে হোসকোনেন এক গোল শোধ করলেও তা শেষ পর্যন্ত সান্তনা হয়েই থেকেছে।
এথেন্সে আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে ইংল্যান্ডের উপরে উঠে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে গ্রীস। এনিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেছে গ্রীকরা।
এদিকে দিনের সবচেয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রিয়া। মার্কো অরনাটোভিচের জোড়া গোলে লিঞ্জে নরওয়েকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে অস্ট্রিয়া। ইন্টার মিলানের এই এ্যাটাকার দুই অর্ধে দুই গোল করেছেন। আলেক্সান্দার সোরলোথ প্রথমার্ধে নরওয়ের হয়ে সমতা ফেরালেও আর কোন গোল করতে পারেনি সফরকারীরা। অস্ট্রিয়ার পক্ষে বাকি গোলগুলো করেছেন ফিলিপ লিয়েনহার্ট, স্টিফান পোশ ও মাইকেল গ্রেগোরিশ।
৮ মিনিটে ২০ গজ দুর থেকে জোড়ালো স্ট্রাইকে অরানাটোভিচ স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। বিরতির ছয় মিনিট আগে সোরলোথ নরওয়ের পক্ষে সমতা ফেরান। ৪৯ মিনিটে অস্ট্রিয়ান অধিনায়ক স্পট কিক থেকে আবারো অস্ট্রিয়াকে এগিয়ে দেন। ডিফেন্ডার লিয়েনহার্ট ও পোশ চার মিনিটের মধ্যে দুই হেডে ব্যবধান বাড়ান। ৭১ মিনিটে গ্রেগোরিশের তৃতীয় হেডে অস্ট্রিয়ার বড় জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে গ্রুপ-বি৩’র টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে অস্ট্রিয়া।
ম্যানচেস্টার সিটি তারকা হালান্ড অস্ট্রিয়ান রক্ষনভাগকে কোনভাবেই পরাস্ত করতে পারেননি। পাঁচ মিনিটে নরওয়েজিয়ান অধিনায়কের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে।
কাজাকাস্থানকে ১-০ গোলে হারিয়ে নরওয়ে ও অস্ট্রিয়ার সাথে সমান ৭ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে।