জেলায় কমেছে বন্যার পানি কমার পর এখন বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। পাশাপাশি রয়েছে ওষুধের সংকট। জেলায় এ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে সরজমিনে দেখা যায়, নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ২৬৬ জন রোগী। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শয্যা, ওষুধ, নার্স ও চিকিৎসক সংকটে রোগীদের অবস্থা ত্রাহি-ত্রাহি। হাসপাতালে রোগীর চাপে কেউ বারান্দায়, কেউ মেঝেতে, কাউকে সেবা নিতে হচ্ছে সিঁড়িতে বসে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজীম আজ জানান, গত দুই সপ্তাহের বন্যায় নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ২০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। এর বাইরে কারো মৃত্যু হয়েছে কিনা তা আমাদের রেকর্ডে নেই।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বন্যার দূর্যোগকালীন এই সময়ে রোগীর চাপ কয়েকগুন বেশি। এরপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টায় রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। অস্বীকার করবো না জনবলের সংকট, ওষুধের সংকট আছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বন্যার এই দুর্যোগকালীন সময়ে নোয়াখালীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পর্যাপ্ত জরুরি ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বিজ্ঞাপন
© Copyright Times News BD All Rights Reserved.